Header Ads Widget

মাতৃদুগ্ধ ছাড়া ৬ মাসের সন্তানকে আর কি কি খাওয়াবেনঃ🫵🫵🫵


 মাতৃদুগ্ধ ছাড়া ৬ মাসের সন্তানকে আর কি কি খাওয়াবেনঃ🫵🫵🫵


Breastmilk বা মাতৃদুগ্ধ জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র খাওয়াতে বলেন ডাক্তাররা। ছয় মাস বয়সের পর থেকে মাতৃদুগ্ধের পাশাপাশি শিশুকে খাদ্য তালিকায় আর কী কী অন্তর্ভুক্ত করবেন তা নিয়েই এখানে আলোচনা করা হল। শিশুকে এই সময় যে যে খাবারগুলি খাওয়ানো জরুরি, সেগুলি তুলে ধরা হল।


Breastmilk বা মাতৃদুগ্ধ শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, তা আমরা সবাই জানি। শিশুর পুষ্টি, বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য মাতৃদুগ্ধ সবচেয়ে জরুরি। তাই জন্মের পর থেকে যত বেশি দিন সম্ভব সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করান। ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে কেবলমাত্র বুকের দুধই খাওয়ানো দরকার। এ সময়ে শিশুকে জল খাওয়ানোরও দরকার পড়ে না।


৬ মাস বয়সের পর বাচ্চার খাদ্যতালিকায় মাতৃদুগ্ধের পাশাপাশি আরও কয়েকটি জিনিস যোগ করতে হবে। কারণ ৬ মাস বয়সের পর শুধুমাত্র মাতৃদুদ্ধ পান করে শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। এই সন্তানকে একটু একটু করে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হবে। ৬ মাস বয়সের পর বাচ্চার খাদ্য তালিকায় আর কী কী যোগ করবেন তা জেনে নিন।


ভাতের ফ্যানঃ🌼


বাচ্চার শরীরে যাতে পর্যাপ্ত তরল যায় বা তার শরীর যাতে সর্বদা আর্দ্র থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভাতের ফ্যান বা ভাতের মাড় শিশুর শরীরে শক্তি যোগাবে। ভাত এমনিতেই 'লো অ্যালার্জেন' খাবার। তাই বাচ্চাকে মাতৃদুগ্ধ ছাড়াতে হলে প্রথমে এটাই খাওয়ান। এটি আপনার শিশুর শরীরে আর্দ্র রাখবে এবং তাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও শক্তি দেবে। ভাতের ফ্যান ছেঁকে নিয়ে তাতে সামান্য নুন মিশিয়ে আপনার সন্তানকে খাওয়ান।


চটকানো ফলঃ👊


শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করতে চাইলে ফল চটকে নিয়ে তা খাওয়াতে পারেন। বাচ্চার শরীরের জন্য় যা যা পুষ্টিকর উপাদান প্রয়োজন, তার প্রায় সবকটাই ফলমূলে পাওয়া যায়। আর ফলের মিষ্টি স্বাদের জন্য বাচ্চারা সাধারণত ফল খেতেও পছন্দ করে। আপনি আপনার ছোট্ট শিশুকে প্রথম আপেল খাওয়াতে পারেন। একটি আপেল সেদ্ধ করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে চটকে নিয়ে কয়েক টেবিল চামচ খাওয়াতে পারেন। পাকা কলাও চটকে নিয়ে চামচে করে বাচ্চাকে খাইয়ে দিতে পারেন।


ভেজিটেবল পিউরিঃ🍎🍅🍉🍊🥕🍌🥭🍍🍐🫛


শিশু যখন তার খাদ্যের জন্য আর শুধু মাতৃদুগ্ধের উপর নির্ভরশীল নয়, তখন আপনি তাকে শাকসবজি খাওয়াতে পারেন। শাকসবজি পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। তাই শিশুর শরীরেও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলি যাবে। আলু, গাজর কিংবা অন্যান্য সবজি ভালো করে সেদ্ধ করে নিয়ে জল ঝরিয়ে চটকে নিন। গাজর, বিনস, লাউ, কুমড়োর মতো সবজিও ভাল করে সিদ্ধ করে নিয়ে চটকে বাচ্চাকে খাওয়ান। সবজি সেদ্ধ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এর ফলে আপনার শিশুর বিকাশ পরিপূর্ণ হবে।


ওটস পরিজ


শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করার সময় ওটমিল বা ওটস পরিজ বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে এবং বাচ্চার হজমেও সমস্যা হয় না। স্বাদ বাড়াতে ওটস-এর সঙ্গে ফল, শাকসবজি মিশিয়েও খাওয়াতে পারেন। ওটস যেমন বড়দের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনই বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এর সঙ্গে নানা ধরনের সবজি মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ালে তা আরও ভালো হবে শিশুর শরীরের জন্য।


ডালের স্যুপঃ


ডালের স্যুপ যদিও শক্ত খাবারের মধ্যে পড়ছে না, তবু সন্তানের বয়স ছয় মাস হওয়ার পর থেকে তাকে ডালের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। নানা ধরনের ডাল ভালো করে জলে ফুটিয়ে নরম করে নিন। তারপর জলটা ছেঁকে নিয়ে তার মধ্যে একটু মাখন আর এক চিমটে নুন মিশিয়ে সন্তানকে খাইয়ে দিন। নরম ডাল চটকে নিয়ে সেটাও আপনার সন্তানকে খাওয়াতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন ডালের দানা যেন একদম নরম হয়ে যায়। ডাল শক্ত থাকলে শিশুর গলায় আটকে যেতে পারে।

Post a Comment

0 Comments